Skip to main content

Posts

চলো ভালো থাকি

  এই দুনিয়ায় আমরা সবাই এসেছি একা, চলেও যাব একাই – এইটা তো আমরা সব্বাই জানি। অথচ;  মজার কথা হল যে – একদিন না একদিন চলে যেতে হবে জেনেও কিন্তু আমরা মন খুলে বাঁচতে পারি না; মরার আগেই শতবার মরি, বাঁচতে ভুলে যাই। তাই না? আজ আপনাদের একটা অদ্ভুত গেস্ট হাউসের গল্প শোনাব – নামঃ “কাশীলাভ মুক্তি ভবন” হিন্দু শাস্ত্রে বলা আছে, জীবনের শেষ নিঃশ্বাস কাশী(বারানসী)তে ত্যাগ করলে নাকি মোক্ষ লাভ হয়। অনেকেই তাই জীবনের শেষ প্রান্তে মোক্ষলাভের মোহে এই কাশীতে এসে থাকেন। এদের জন্যই বিখ্যাত তিনটে গেস্ট হাউসের একটা হল - “কাশীলাভ মুক্তি ভবন। আর দুটোর নাম যথাক্রমে মুমুক্ষু ভবন ও গঙ্গালাভ ভবন। এই “কাশীলাভ মুক্তি ভবন” এ ৪৪ বছর ধরে ম্যানেজার হয়ে আছেন শ্রী ভৈরব নাথ শুক্লা। তার কথায় – এখানে ধনি-দরিদ্র সকল শ্রেণীর মানুষ আসেন শেষ বয়সে শান্তি লাভের আশায়। গেস্ট হাউসে থাকতে থাকতে তারা মৃত্যুর দিন গোনে। শুক্লাজী এখানে থেকে উনি এখন পর্যন্ত প্রায় ১২ হাজার মৃত্যু দেখেছেন এবং এর মধ্যে দিয়ে তিনি শিখেছেন জীবন যাপনের ১২টি মূলমন্ত্র। তার কথা অনুযায়ী সেইগুলিকে বর্ণনা করার চেষ্টা করছি। ১) দেহত্যাগের আগে সব রকমের মতবিরোধ থেকে নিজেকে মুক্
Recent posts

চলে তাকে যেতে দিয়ো

  মনটা এত খারাপ কেন? পরছে কেন চোখের জল? সবই তো ঠিক ছিলই, আছেও মানলেই হল এ বদল।   এসেছিল সে শর্ত নিয়ে, কারোর হয়েও আমার কাছে। সাথে কাটানো সময়গুলো শুধু আমারই রয়ে গেছে। বাঁধতে গিয়ে ছিঁড়েছি যখন হৃদির সুতো, পরেছে টান … মুঠোর বালি নিঃশেষিত; বাজছে মনে সে এক গান………   “বোলো না রাধিকা তাকে, যেয়ো না যেয়ো না প্রিয়। চলে যেতে চায় সে যদি, চলে তাকে যেতে দিয়ো।“

শিক্ষা

  একবার হয়েছে কি, ভীষণ উত্তেজনাবশতঃ বেশ কড়া দামে টিকিট কেটে দেখতে গিয়েছিলাম একটা সিনেমার ফার্স্ট ডে ফার্স্ট শো। তারপর…. একঘণ্টা যেতে না যেতেই প্রান হাঁসফাঁস, হাত কামড়ানো। মনে যুদ্ধ চলছে – ‘এত খাজা ছবি কি করে হতে পারে’র সাথে ‘ঈশ, কত খরচ হয়ে গেল’র। ভাবতে ভাবতে, পকেট আরও খসিয়ে পপকর্ণ আর কোল্ড্রিঙ্কও খাওয়া হয়ে গেল। হল থেকে বেড়িয়ে কান মুলেছিলাম, এমন বোকামি আর হবে না, শপথ টপথও নিয়েছিলাম খানিক। বলুন তো, আসল বোকামিটা কোনটা ছিল? দামী টিকিট কেটে বাজে সিনেমা দেখা না কি সিনেমাটা বাজে বুঝেও, বেশি খরচ হয়ে গেছে এই ভেবে, হলে বসে নিজের সময় বরবাদ করে পুরো সিনেমাটা হজম করা? নিজেদের জীবনের দিকে একবার ভালো করে তাকাই তো; আমাদের সম্পর্কগুলোও অনেকটা এইরকম নয় কি? কাজ করছে না জেনেও, লেগে থাকি, সম্পর্কের ভার বয়ে চলি অনেক ইনভেস্টমেন্ট হয়ে গেছে, লোকে কি বলবে… এইসব ভেবে। কিন্তু আস্তে আস্তে যে সবচেয়ে দামী ইনভেস্টমেন্টটা পাঁকে চলে যাচ্ছে…মানে “সময়”…যেটা আর ফিরে আসবে না, তার কথা ভাবা হয়ে ওঠে না।   কিছুই কিন্তু অপূরণীয় নয়। আপনি না থাকলে, বা আমি না থাকলে সব কি থমকে যাবে? কিছুদিন আগে ইন্সটাগ্রামে একটা পোস্ট দেখেছিলাম- “আ

বাস ইতনা সা খোওয়াব হ্যায়!

  ১)আচ্ছা, আপনি কি প্রতিটা দিন প্ল্যানমাফিক কাটান? মানে প্রতিটা দিনের জন্য আপনার কি বিশেষ প্ল্যান বা to do list থাকে? ২)আচ্ছা, আপনি কি দিনে কোন কাজটা আগে করবেন ভেবে রাখেন, মানে do you prioritize according to importance? ৩) আচ্ছা, আপনার ‘ভুলে যাওয়া’ স্বভাব কি প্রতিদিনের কাজে ব্যাঘাত ঘটায়? মানে, কি কি করবেন ঠিক করেছিলেন, সেটা ভুলে যান প্রায়শঃই?   ৪) আচ্ছা, আপনাকে কি নাম, ঘটনা, সংখ্যা, পরিসংখ্যান মনে রাখতে হয়? উপরোক্ত সবক’টা কাজ সম্পন্ন করে আপনার কপাল, মানে, আপনার মস্তিস্কের pri-frontal cortex. কপাল খারাপ বলে একেই চাপড়ান আপনি; দেখুন তো এটা কত কাজের actually!! এই pri-frontal cortex এর একমাত্র খাদ্য হল ‘অক্সিজেন’ ঠিকমতন পরিমানে পেলে, ইনি ঠিকঠাক কাজকম্ম করে থাকেন।   তো, এইবার থেকে যখনই আপনি নিজের যাবতীয় কাজকম্মের কথা মনে করবেন বা প্ল্যান করবেন… মনে রাখবেন আপনার pri-frontal cortex চাকা ঘোরাচ্ছে আর পুড়ছে  oxygen। আপনি যদি দক্ষতার সাথে (না ভুলে), প্ল্যানমাফিক কাজ করতে চান, তাহলে বারংবার আপনার কাজ বা লক্ষ্য (goal) নিয়ে না ভেবে – একটা কাগজ পেন নিয়ে বসুন আর লিখে ফেলুন। কারণ, ক্রমাগতঃ কাজ নিয়ে ভাবল

কেন তোমরা আমায় ডাক ?

  ‘কেন আমার সাথেই এমন হল?’ ‘কেন আমার সাথেই এরকম হয়?’ ‘ও কেন আমায় চিট করল?’ ‘কেন ও আমায় এইসব বলল?’ ‘কেন সে এমন ব্যবহার করল?’ ‘আমার কেন কোনও শিক্ষা হয় না…..?’ কেন? কেন? কেন? মনবাজারের ব্যাগটা খুলে দেখুন তো – ক’কেজি ‘কেন’ কিনে রেখেছেন? যখনই আমরা ‘কেন’ সহযোগে কিছু কথা বলি বা ভাবি; আমাদের ‘মন-বাবু’টি টুপ করে অতীত সাগরে ডুব দিয়ে খুঁজে আনে সেইসব সমস্ত ঘটনা – যা দিয়ে আপনি নিজেকে বা অপরকে দোষারোপ করতে পারেন। এই ‘কেন’ প্রশ্নটি আপনাকে সমস্যার কারণ ‘আপনার মতন’ করে খুঁজে দেয়। অর্থাৎ, যখনই আপনি ‘কেন’ প্রশ্ন করেন, তখনই  যেটা হয়, আপনি ভাবতে শুরু করে দেন  “সমস্যার” point of view থেকে – “সমাধান” এর নয়। দেখা গেছে, সফল ব্যক্তিরা সমস্যা সমাধানের সময় একটা অদ্ভুত ট্রিক ব্যবহার করেন। তারা তাদের মনে আসা প্রশ্নের ‘কেন’ গুলোকে ‘কি’ তে বদলে নেন। মানে, কোনও সমস্যার মুখোমুখি হলে   তারা  নিজেদেরই জিজ্ঞেস করেন –  ‘আমি এখন কি করতে পারি?’ ‘আমার যা আছে, তা দিয়ে কি করা যায়?’ ‘এই ঘটনা থেকে আমি কি শিখলাম?’ আমি কি ভাবে এই ঘটনাকে আর repeat করতে না পারি?’ ইত্যাদি ইত্যাদি। এই ‘কি’ ওয়ালা প্রশ্নগুলো আমাদের সমাধানের পথ দেখায়।   আ

শর্ত প্রযোজ্য

  আমরা মানে আপনি, আমি সবাই, প্রায় ৯৯% মানুষই হাজারো শর্ত নিয়ে, শর্ত আরোপ করে বেঁচে থাকি। ভুল বলছি কি? আচ্ছা দেখুন তো, আপনি কখনও এরকম ভেবেছেন বা বলেছেন কি না – এ বছর আমার প্রোমোশনটা হলেই আমি খুব খুশি, বা যতক্ষন না নিজের বাড়ি হচ্ছে, আমার ভালো থাকা হবে না বা এত টাকা জমলেই বেড়াতে যাব বা ছেলে ভালো রেজাল্ট করলেই আমি খুশি …… আরও…. আরও …. আরও কত কি। আমরা প্রায় প্রত্যেকেই সুখী থাকার / হওয়ার জন্য নিজেদের কাছেই অনেক শর্ত রেখে বসি। কিন্তু লং টার্ম বেসিসে ভালো থাকতে গেলে, আনন্দে থাকতে গেলে এই শর্তগুলো ভয়ঙ্কর… বোঝেন কি? Accept the life unconditionally.  The Law of Acceptance actually help us to release more and become more. অর্থাৎ,  এই acceptance বা গ্রহণযোগ্যতার পরিমান যত বাড়াতে পারবেন, নিজের ‘ভালো থাকা’টা ততটাই বেড়ে যাবে। আরও ভালো – আরও একটু বেশি- আরও কিছু সময় … এইসবের চক্করে জীবনে বাঁচার আনন্দটাই দুমরে মুচরে একাকার হয়ে যায়। তাই, একটু ধৈর্য রাখুন। বাঁচুন। গ্রহণযোগ্যতা বাড়ান। আর, একটু ভরসা রাখুন নিজের প্রতি। জীবনকে শর্তবিহীন উপভোগ করার চেষ্টা করুন। দেখবেন, হতাশার জলাঞ্জলি ঘটেছে আর প্রতিটা সূর্যোদ

২ মিনিটেই খতম

  -     “বড্ড চাপে আছি রে….” -     “আর বলিস না, অফিসে যা চাপ চলছে……” -       “একদম সময় পাই না… এত কাজের চাপ….” উত্তরগুলো অতি প্রচলিত। “চাপ-মুক্তি”র উপায় একটু গভীর অন্য একদিন নিশ্চয়ই জানাব; কিন্তু, আজ আপনাদের আমি এই চাপ কমানোর এক ভীষণ সহজ উপায় বলতে চলছি। উপকরনঃ ১) আপনার ইচ্ছা ও চেষ্টা ২) আপনার জীবনের মাত্র ২টো মিনিট পদ্ধতিঃ ক) বুক ভরে শ্বাস নিস। শ্বাস নেওয়ার সময় খেয়াল করুন আপনার শরীর বেলুনের মতন ফুলছে কি না।মনে মনে ১ থেকে ৪ গুনুন। খ) শ্বাস নেওয়ার সময় চেষ্টা করুন আপনার মনঃসংযোগ যেন আপনার দুই ভ্রূর মাঝে থাকে। (এইটাই চ্যালেঞ্জিং, কিন্তু আমি জানি আপনি পেরে যাবেনই)। শ্বাস ধরে থাকুন, ১ থেকে ৫ গুনুন। গ) শ্বাস ছাড়ুন, ছাড়ার সময় মনঃসংযোগ নাভিতে নিয়ে আসুন (এটাও পেরে যাবেন ক্রমশঃ)। শরীর বেলুন চুপসে যাওয়ার মতন সঙ্কুচিত হবে। ১ থেকে ৬ গুনতে গুনতে শ্বাস ছাড়ুন আস্তে আস্তে।   এইভাবে মাত্র ২ মিনিট শ্বাস নিন- শ্বাস ছাড়ুন। যে কোনও জায়গায়, যে কোনও সময় যখনই আপনার নিজেকে ‘চাপে-চ্যাপ্টা’ মনে হবে; এই প্র্যাকটিস করতে পারেন।   আসলে, যে ব্যাপারটা হয়, এই রকম শ্বাস নেওয়া-ছাড়ার সাথে সাথে মনঃসংযোগ   automatically  এক জ